উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, রবি মৌসুমে এখানে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বরবটি, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, লাল শাক, ডাটা শাক ও পালং শাকসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করবেন। এছাড়া ৪৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা আগাম সবজি চাষের জন্য বীজতলায় চারা উৎপাদন ও জমি প্রস্তুত করছেন। বিশেষ করে মরিচ চাষ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে শাকসবজি চাষের প্রস্তুতি চলছে। অধিকাংশ স্থানে নার্সারির বীজতলায় চারা তৈরি করা হচ্ছে। তবে বাড়ির আঙিনায় বীজতলা তৈরির বিষয়টি ধুনট উপজেলায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেখানে কৃষক নিজেরাই চারা তৈরি করছেন।
আনারপুর গ্রামের গোলাপ সরকার বলেন, ‘অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে চারা কেনার চেয়ে নিজেদের তৈরি করা সহজ। বাড়ির আঙিনায় টমেটোর চারা তৈরি করেছি। অল্প দিনের মধ্যেই আগাম শীতকালীন টমেটো চাষ শুরু করব। এ জন্য জমি প্রস্তুত করেছি।’
নিমগাছী গ্রামের সততা নার্সারির স্বত্বাধিকারী মহিদুল হাসান বলেন, শীতকালীন শাকসবজি আগাম চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়। এ জন্য রবি মৌসুমে শাকসবজি চারার চাহিদা বেশি। ‘কৃষকের চাহিদা চিন্তা করে নার্সারিতে আমরা দ্রুত শাকসবজির চারা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে এসব চারা কিনে কৃষকরা চাষাবাদ শুরু করেছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, ‘উপজেলায় রবি মৌসুমে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি ও ৪৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ এবং কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে।’